“পরিবার ও পারিবারিক জীবন” মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীমের একটি অসাধারণ বই। এতে এতবেশি তথ্য প্রমাণ দেয়া হয়েছে যে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমি শুধু বিয়ের অধ্যায়টাই পড়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। আপনাদের সাথে কিছু বিষয় শেয়ার করছি…

১. ছেলে-মেয়ে বালেগ হলেই পিতামাতা তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা উচিত

২. দারিদ্রতা বিয়ের প্রতিবন্ধক হতে পারে না।

৩. বিয়ের কুফুর(সমতা ও সাদৃশ্য) ক্ষেত্রে দ্বীনদারীকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

৪. বিয়ের উদ্দেশ্যে ছেলে সরাসরি মেয়েকে অথবা মেয়ে সরাসরি ছেলেকে প্রস্তাব দিতে পারে।

৫. গোপন বিয়ে জায়েজ নেই, বিয়েতে অবশ্যই সাক্ষী থাকতে হবে এবং সামাজিকভাবে সেটা প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. শুধু ছেলে এবং মেয়ের সম্মতিতেও বিয়ে করা যাবে, তবে মেয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ

৭. বিয়ের পূর্বেই ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখে নিতে হবে, এতে করে পরস্পরের প্রতি আকর্ষন তৈরি হবে।

৮. মেয়ে দেখার ক্ষেত্রে গায়রে মাহরামের(পাত্র ব্যতিত) সামনে মেয়ের বেপর্দা হওয়ার সুযোগ নেই।

৯. মোহরানা মেয়ের হক, তাই মোহরানার ব্যাপারে মেয়ের সাথে সরাসরি কথা বলা উচিত।

১০. মোহরানা পরিশোধ করা ব্যতিত অথবা পরিশোধের ব্যাপারে স্ত্রী যদি সময় না দেয় তাহলে স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়া জায়েজ নেই।

১১. বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা মসজিদে হওয়াই উত্তম।

১২. বিয়ের অনুষ্ঠানে অশ্লীল নয় (ইসলাম সমর্থিত) এমন গান-বাজনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

১৩. ছেলে ওয়ালিমার যেয়াফত (আত্নীয়-স্বজনের খাওয়ার দাওয়াত) এর ব্যবস্থা করতে হবে। মেয়ের বাড়িতে ওয়ালিমার যেয়াফতের কোন বর্ণনা পাইনি।

বর্তমানে আমাদের সমাজে বিয়েকে দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু বালেগ ছেলে অথবা মেয়ে কিছুতেই তাদের দৈহিক এবং মানষিক চাহিদাকে অস্বীকার করতে পারে না। আমাদের অনৈসলামিক সমাজ ব্যবস্থাও প্রতিনিয়ত উসৃংখল জীবন যাপনে প্ররোচনা দিচ্ছে। যার ফলে সমাজে অবৈধ প্রেম ভালবাসার চর্চা বেড়েই চলছে। অনেকেই এটাকে ঈমানের পরীক্ষা বলেও চালিয়ে দিতে চান। কিন্তু আল্লাহ যে জিনিসটাকে সহজ করে দিয়েছেন এবং সমাধান দিয়ে দিয়েছেন আমরা সেটাকে কঠিন করার কোন মানেই হয়না। নিজেকে বড় পরহেজগার হিসেবে প্রমাণ করার জন্য আল্লাহর দেয়া সুযোগ সুবিধা গ্রহন না করাকে আমি বোকামিই বলবো। তাই বিয়েকে সহজ করে অবৈধ প্রেম ভালবাসার গলায় ফাঁস পরানো এখন সময়ের দাবি।